ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির ৯ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসুচি পালন 

পাবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির ৯ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসুচি পালন 

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) কর্মকর্তা সমিতি ৯ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসুচি পালন করেছে। সোমবার (২৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আপগ্রেডেশন বোর্ডের সভা আগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে সমিতির সদস্যরা। সভায় যোগদানে জন্য উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে সমিতির সদস্যরা বাধা দেন। এসময় উপাচার্যের সহযোগিদের সঙ্গে সমিতির সদস্যদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দেয়।

পাবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, তাদের ৯দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, নীতিমালা অনুযায়ী আপগ্রেডেশনের মেয়াদপুর্ন হওয়ায় কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে। এডহক ভিত্তিতে কমর্রত কর্মকর্তাদের স্থায়ী নিয়োগ, কর্মকর্তাদের নিয়োগবিধি সংশোধন, শিক্ষাছুটি, লিয়েন ছুটিসহ যাবতীয় প্রাপ্য ছুটি হয়রানি ছাড়া প্রদান করতে হবে। কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বৈতনীতি পরিহার করতে হবে। প্রয়াত ডেপুটি চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শহিদুল ইসলামের সহধর্মিনীর চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার জন্য গঠিত উপ-কমিটির সকল কর্মকর্তাকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে এবং ৪% গৃহনির্মাণ ঋণ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। সমিরি বাধা উপেক্ষা করেই উপাচার্য কার্যালয়ে আপগ্রেডেশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সমিতির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে পাবিপ্রবি প্রশাসন দাবী করেন, আপগ্রেডেশন বোর্ডের সভা বাধাগ্রস্ত করতে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে অবস্থান কর্মসুচি পালন করেছে কর্মকর্তা সমিতি।

পাবিপ্রবির একটি সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এক পক্ষ পদোন্নতির জন্য চেষ্টা করছেন। তারা এবারও উপেক্ষিত। এজন্য আজকে তারা এই সভা বাধাগ্রস্ত করতে অবস্থান নিয়েছে। আজকে যারা প্রার্থী ছিলেন তারা তৃতীয় একটি পক্ষের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত।

পাবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো দীর্ঘদিনের, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিয়েও বাস্তবায়ন করছে না। এজন্য আমাদের আজকের কর্মসূচি। এখানে তৃতীয় কোনো পক্ষে ইন্ধন নেই।

এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর আওয়াল কবির জয় বলেন, নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে শূন্য পদে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। এখানে পদোন্নতির কোনো সুযোগ নেই। আমার জানা মতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কাউকে না পেয়ে দুইজনকে শূন্য পদে পদোন্নতি দিয়েছে। এজন্য কর্মকর্তা সমিতির সদস্যরা শূন্য পদে পদোন্নতির জন্য আজকের এই আন্দোলন করছেন। তাদের দাবি- যদি একজন-দুজনকে দেয়া হয় তাহলে তাদেরকেও দেয়া হোক।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুনের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি নিজেও একজন প্রার্থী। সকাল থেকেই আমি সভাকক্ষে ছিলাম। বিষয়টি পুরোপুরিভাবে জানি না। তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে কর্মকর্তারা এই কর্মসূচি দিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পাবিপ্রবি,অবস্থান,দফা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত